কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ‘আমরা কিন্ত এখন সামনের দিকে চলা শুরু করেছি। এতদিন রেল কিন্তু পিছনের দিকে চলতো। অর্থাৎ রেল ব্যবস্থায় যা ছিল সুযোগ সুবিধা সেগুলোই কিন্তু আমরা ধরে রাখতে পারিনি। যে কারণে এখন পর্যন্ত ১০০টির মত স্টেশন বন্ধ আছে।’ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মো: নুরুল ইসলাম সুজন মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী আরো বলেন, চলতি মাসের ১৬ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা টু কুড়িগ্রাম আন্ত:নগর ট্রেনটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। তিনি (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ট্রেনটির নাম কুড়িগ্রাম জেলার (কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর) নামে করার জন্য আগ্রহের কথা বলেছেন।
চল্লিশ মিনিট ধরে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশনে অবস্থানকালে রেলমন্ত্রী নতুন স্টেশন ভবন ও এর চারপাশের অব্যবস্থার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে দ্রুতসময়ে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করবার নির্দেশ দেন উপস্থিত বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার মো: হারুন অর রশীদকে।
এসময় মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মো: জাফর আলী, জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানসহ রেল বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা।
এদিকে রেলমন্ত্রীর সফরের সময় চিলমারী রমনা স্টেশনে দুপুর সোয়া দুইটার সময় ট্রেনের ইঞ্জিন (লোকাল ট্রেন) বিকল হয়ে যায় বলে জানান কুড়িগ্রাম রেল স্টেশনের মাস্টার কাবিল উদ্দিন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রেনটি চালু হয়নি। এর ফলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পরেন। এ বিষয়টিও মন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনা হলে তিনি বলেন, অচল রেলকে সচল করার কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের সময় দিতে হবে। আগামীতে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। সে জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক কর্ম পরিকল্পনা তৈরী করে এগিয়ে যাচ্ছি। কেউ আর পিছনে পড়ে থাকবে না। সবাইকে এগিয়ে নেয়া হবে। ভবিষ্যতে আন্তঃনগর ট্রেনটি চিলমারী পর্যন্ত চলাচল করবে।