এস, এম নুআস: কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌ-বন্দরে ভারত থেকে নিয়ে আসা কয়লা, পাথর ও অন্যান্য মালামাল পরিবহনে সময় এবং খরচ কম হলেও নদের নাব্যতা হ্রাসসহ কাষ্টমস ক্লিয়ারেন্স পেতে দেরী হওয়ায় চরম ভোন্তিতে পড়েছেন আমদানীকারক ব্যবসায়ী।
গতকাল চিলমারী নৌ-বন্দর এলাকা রমনা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ফকিরেরহাট এলাকার কালিরেরকুড়া ও নয়াবশ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ২০টি পাথর বোঝাই ট্রলার ও ৬টি কয়লা বোঝাই ট্রলার খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। ট্রলারগুলো বাংলাদেশ থেকে ভারতের ধুবরিতে গিয়ে পাথর ও কয়লা নিয়ে ফিরেছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা সংকটের কারণে নদীবন্দর এলাকা পর্যন্ত যেতে পারেনি। চালক, শ্রমিক ও আমদানিকারকগণ জানান, কাষ্টমস ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় তারা ১৫দিন ধরে এভাবেই পড়ে রয়েছেন। ফলে ট্্রলার মালিক, চালক ও ব্যবসায়ীরা চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন। ট্রলারের চালকরা জানান, মালিকগণ তাদেরকে ট্রলার ফেরত নিতে চাপ দিচ্ছেন। অথচ ব্যবসায়ীগণও তাদেরকে টাকা দিচ্ছেন না। এমনকি বর্তমান তাদের কাছে খাবারও টাকা নেই। আমদানীকারকগণ কাষ্টমস ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ার কারণে পাথর ও কয়লা খালাস করতে না পারায় তারা চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন। ফলে এলাকার হাজার হাজার ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তাই সচেতন মহল, ব্যবসায়ী ও আমদানীকারকগণ অবিলম্বে পাথর, কয়লা ও অন্যান্য আমদানীকৃত মালামাল খালাসের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবী জানিয়েছেন। সেই সাথে চিলমারী নদীবন্দরের স্থবিরতা দুর করে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহনের মাধ্যমে বন্দরকে সচল রাখার আবেদনও করেছেন।
Leave a Reply