স্টাফ রিপোর্টারঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কারিতাস বাংলাদেশ-সবুজ জীবিকায়ন প্রকল্পের উদ্যোগে বিনামূল্যে গবাদি পশুর ভ্যাক্সিনেসন কর্মসূচি সম্পাদন করা হয়।
আন্ধ্রেরি হেলফি এবং বিএমজেড এর আর্থিক সহায়তায় এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। টিকাদান কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশিদুল হক, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সাত্তার ও ৪জন ভ্যাক্সিনেটর। ক্যাম্পেইনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আয়নাল হক এবং কারিতাস সবুজ জীবিকায়ন প্রকল্পের জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসারসহ অন্যান্য কর্মীগণ।
বুধবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে সকাল ১১টায় টিকাদান কর্মসূচিটি শেষ হয়। এসময় রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের সরকারি গ্রাম, পশ্চিম ভাটিয়াপাড়া, কোদাল ধোয়ার পাড় এবং বুরুজের পাড় গ্রামের প্রায় ১৫০০টি গবাদি পশুকে (গরু, ছাগল, ভেড়া) বিনামুল্যে তড়কা এবং ক্ষুরা রোগের টিকা ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়া পশুগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়।
গরুর টিকা নিতে আসা পশ্চিম ভাটিয়া পাড়ার মোছাঃ লাভলি বেগম বলেন, বিনামূল্যে টিকা এবং চিকিৎসা পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। আমি কারিতাসের এই উদ্যোগকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, গবাদি পশুর ভাইরাসজনিত রোগবালাই দূরীকরণে টিকা প্রদানের কোন বিকল্প নাই। টিকা প্রাণীর শরীরে প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ করে এবং অনেক ভয়ংকর ও মরণব্যাধি অসুখ হতে রক্ষা করে। তাই গরু ছাগল এর রোগ-ব্যাধির কার্যকরী প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কারিতাস বাংলাদেশ-সবুজ জীবিকায়ন প্রকল্পের উদ্যোগে আজকের ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পইনটি অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে। আমি ব্যক্তিভাবে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আয়নাল হক বলেন, কারিতাস বাংলাদেশের এই ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পইনটি বাস্তবায়নের ফলে অতিদরিদ্র পরিবারগুলো বিনামূল্যে টিকা পাচ্ছে। ফলে গৃহপালিত পশু-প্রাণীগুলো সুস্থ থাকবে এতে লোকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবে।
কারিতাস সবুজ জীবিকায়ন প্রকল্পের জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মিঃ মিলন এককা বলেন, গবাদিপ্রাণীগুলোর রোগ-বালাই সর্ম্পকে সচেতনতা বাড়াতে এই ধরনের ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। প্রকল্পের কর্মএলাকা চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ এবং রমনা ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে প্রতিবছর দুইবার করে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের জন্য এই টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়ে থাকে।
Leave a Reply