স্টাফ রিপোর্টার: সোমবার (২৫ অক্টোবর ২০২১) কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে কারিতাস বাংলাদেশ-সবুজ জীবিকায়ন প্রকল্পের উদ্যোগে বিনামূল্যে গবাদি পশুর চিকিৎসা ও টিকাদান কর্মসূচি সম্পাদন করা হয়।
প্রকল্পের আন্ধ্রেরি হেলফি এবং বিএমজেড এর আর্থিক সহায়তায় এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। টিকাদান কর্মসূচির সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশিদুল হক। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো: আব্দুস সাওার এবং ৪জন ভ্যাক্সিনেটর এবং কারিতাস সবুজ জীবিকায়ন প্রকল্পের জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসারসহ অন্যান্য কর্মীগন।
টিকাদান কর্মসূচিটি সকাল ৭টায় শুরু হয়ে সকাল ১১টায় শেষ হয়। এসময় রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সরকারিগ্রাম, পশ্চিম ভাটিয়াপাড়া এবং বুরুজের পাড় গ্রামের প্রায় ১২০০টি গবাদিপ্রানিকে (গরু, ছাগল, ভেড়া) বিনামুল্যে তড়কা এবং ক্ষুরা রোগের টিকা ও চিকিৎসা দেওয়া হয়।এছাড়া পশুগুলোর স্বাস্থ্য পরিক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র ও বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া হয়।
বিনামূল্যে গবাদি পশুর চিকিৎসা ও টিকাদান দেওয়ায় খুশি গরু পালনকারীরা। গরুর টিকা নিতে আসা মো: আকবর হোসেন বলেন, বিনামূল্যে গরুর টিকা এবং চিকিৎসা পেয়ে আমরা অনেক খুশি। প্রতি বছরই যেন এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় তাহলে আমরা গরু ছাগল পালন করে লাভবান হতে পারবো। আমি কারিতাসের এই মহান উদ্যোগকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, গবাদিপ্রানির ভাইরাস জনিত রোগবালাই দূরীকরনে টিকা প্রদানের কোন বিকল্প নাই। যারা সাধারনত বাড়িতে স্বল্প পরিসরে গবাদিপ্রানি পালন করে তারা টিকা প্রদানের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে না পারা কারনে তাদের প্রাণিগুলো মারা যায়। টিকা প্রাণীর শরীরে প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ করে এবং অনেক ভয়ংকর ও মরনব্যাধি। তাই গরু ছাগল এর কার্যকরী প্রতিরোধে ব্যবস্থার জন্য কারিতাস বাংলাদেশ-সবুজ জীবিকায়ন প্রকল্পের উদ্যোগে আজকের ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পটি অনেক গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখছে। আমি ব্যক্তিভাবে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
কারিতাস সবুজ জীবিকায়ন প্রকল্পের জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মি: মিলন এককা বলেন, এই ধরনের ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প এর মাধ্যমে আমরা সাধারন মানুষের সহায়তা করতে পারছি পাশা-পাশি ক্যাম্প আয়োজনের মাধ্যমে জনগন বিভিন্ন বিষয়ে জেনে নিজেদের দক্ষতার উন্নয়ন করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ এবং রমনা ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে প্রতিছর দুইবার করে টিকা প্রদানের গুরুত্ব উপলব্ধির জন্য এই টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়ে থাকে।
Leave a Reply