যুগের খবর ডেস্ক: ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে বহুল আলোচিত ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ সিনেমাটি। এর মাধ্যমে দীর্ঘ বিরতির পর ফের দর্শকের সামনে হাজির হলেন ম্যাডাম ফুলি’খ্যাত সিমলা। দুই দফা সেন্সরবোর্ডে আটকের পর বড় পর্দায় ‘অপ্রদর্শন যোগ্য’ হিসেবে ডিক্লেয়ার্ড হয়। এতে সিনেমাটি নিয়ে নিজের হতাশার কথাও প্রকারন্তরে গড়ণমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। একই সঙ্গে সেন্সরবোর্ডকে নয় বরং নিজের পরিচালককেই দায়ী করেছেন এজন্য তিনি।
তার বক্তব্য সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা বিচক্ষণ। তারা তাদের মেধা দিয়ে সেন্সরে ছবিটি বিচার-বিবেচনা করেছেন। তবে আমি মনে করি, সেন্সরে নিষিদ্ধ হওয়ার মতো কোনো দৃশ্য বা সংলাপ এ ছবিতে নেই। তেমন কোনো আপত্তিকর দৃশ্যও নেই। আমি সেই ধরনের কোনো দৃশ্যে কাজও করিনি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নিজের একটা ইমেজ দাঁড় করিয়েছি। খুব সহজেই সেটা নষ্ট করার মতো মানুষ আমি নই।
তাহলে কেন নিষিদ্ধ হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে সিমলা বলেন, সেটা তো আমার জানার কথা নয়; এটি জানবেন প্রযোজক-পরিচালক। আমি কেবল এতটুকু বলতে পারি তারা কেউই বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারেন নি। একজন শিল্পী হিসেবে আমিও অন্ধকারে। এ নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে পারবো না। শুধু এতটুকু বলতে পারি বড় পর্দায় মুক্তি পেলে আমার ভক্তদের উচ্ছ্বাসটা অন্যরকম থাকতো। এখন হয়তো সেটা পাবো না।
ছবিতে নিজের উপস্থিতি নিয়েও বিরক্ত সিমলা। বলেন, যে গল্প শুনে আমি কাজ শুরু করেছিলাম, সেখানে আমার কাজের সর্বোচ্চ ৩০ ভাগ কাজ হয়েছে, ৭০ ভাগ কাজই হয়নি। তার মানে এখানে গোঁজামিল দেওয়ার মতো কিছু একটা হয়েছে।
কাজের খবরে সিমলা বলেন, সর্বশেষ বলিউডে ‘সফর’ নামের একটি ছবিতে কাজ করেছি। ওটার টেকনিক্যাল দিকটা কিছু বাকি। এছাড়া দেশেও প্রস্তাব পেয়েছি, তবে সেগুলো চরিত্র নির্ভর না হওয়ায় সম্মতি দেইনি। গল্পের সঙ্গে যায় এমন চরিত্র পেলে অবশ্যই করবো। কথায় কথায় জানালেন ভালো পাত্র পেলে বিয়ের জন্য তিনি প্রস্তুত।
Leave a Reply