আব্দুল লতিফ, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যদা না দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এক কাজীর বিরুদ্ধে। বিয়ে করে এক বছর সংসার করার পর অস্বীকার করে প্রতারণা করায় নিরুপায় হয়ে ওই শিক্ষকের কর্মস্হলে প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জান ও বিদ্যালয়ের সভাপতি এবং ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগী ওই নারী। অভিযোগ সুত্রে,জানাগেছে, গত বছরের ২৩ মার্চ ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামের আলাউদ্দিন এর মেয়ে আরজিনা বেগম (৩২) ও একই এলাকার মাওলানা আব্দুল মান্নান কাজীর ছেলে মাহমুদুল হাসান খোকন (৩৮) উভয়ের সম্মতিতে ঢাকায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি বিবাহিত এবং পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ও নিকাহ রেজিষ্টার( কাজী) দীর্ঘ এক বছর তারা স্বামী স্ত্রী হিসেবে সংসার করে গত ১২ জানুয়ারি অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান খোকন আরজিনার বাড়িতে আসলে আরজিনা তাকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এবং বিবাহের কাবিন নামার নকল চায়  তখন সে নানান অজুহাত দেখিয়ে আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলে। এর পর ২২/০১/২০২৩ ইং তারিখে আরজিনা স্ত্রীর অধিকার চাইতে গেলে সে বিয়ের কথা অস্বীকার করে পরে গোপনে একটি তালাকনামা ভুক্তভোগীর ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়।গত ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাটেশ্বরী বাজার এলাকায় ভুক্তভোগী নারীর সাথে খোকন কাজীর দেখা হলে, ওই নারী তার পথ রোধ করে এর একটি সুষ্ঠ সমাধান চায়।সে সময় বাজারের লোকজন জড়ো হলে তখন  খোকন কাজী কৌশলে ভীর ঠেলে তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। ভুক্তভোগী নারী  আরজিনা বেগম বলেন, অনেক দিন থেকেই সে (খোকন) আমাকে বিভিন্ন প্রলোভণ দেখিয়ে ১০ লাখ টাকার কাবিন নামার কথা বলে আমাকে বিবাহ করে। এক বছরে প্রতি মাসে ঢাকায় আমার বাসায় আসতো।আমরা স্বামী স্ত্রী হিসেবে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হতাম।আমি গার্মেন্টস এ চাকরি করে যে টাকা জমিয়ে ছিলাম সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে খোকন কাজী আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে আমি বাড়িতে এসে বৌ হিসেবে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে  বলায় আমাদের বিয়ের কথা অস্বীকার করে। পরে আমার ঠিকানায় একটি তালাকনামা পাঠায়।আমি এই তালাক মানিনা বললে সে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান খোকন এর মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার ছোট ভাই মাহমুদুল হাদী মিম বলেন,এ বিষয়ে কোর্টে একটি মামলা চলমান আছে। পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার জানান, বিষয়টি তিনি জানার পর একাধিকবার মিমাংসার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি খোকন কাজীর পরিবার সাড়া না দেওয়ায় কোন সুরাহ  করা সম্ভব হয়নি।