রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে একদল চোরাকারবারিরা বেপরোয়া হয়ে ভুট্টাক্ষেত ভেঙে তছনছ করার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার ভোরে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নওদাপাড়া সীমান্তে এ ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একদল চোরাকারবারি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় কাটাতারের রেড়ার ওপর দিয়ে আন্তর্জাতিক পিলার ১০৫৭ থেকে শুরু করে ১০৬৩ নং পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারত থেকে গরু, মাদক, জিরা, চিনি, কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল পাচার করে আসছে। এনিয়ে সীমান্তে একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলছে।
গত ৪ মাস আগে এ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ, বিজিবি ও চোরাকারির মাঝে সংঘর্ষে উভয়পক্ষে ৬ জন আহত, বিজিবি কর্তৃক আটক, হাসপাতালে ভর্তি ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনাও ঘটছে সীমান্তবর্তী এলাকায়। এতেও থামেনি চোরাকারবারির দাপট। প্রতিরাতেই তারা সীমান্ত ঘেঁষা ভুট্টা ও ধানক্ষেত ভেঙে তছনছ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এর প্রতিবাদ করলেই তাদের হয়রানিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে চোরাকারবারিরা। এদেরকে কোনোক্রমেই যেন দমানো যাচ্ছে না।
অপরদিকে এসব ঘটনা ধামাচাপা দিতে কাজ করছে কিছু চোরাকারবারি, বিজিবি ও পাইলট নামের কিছু অসাদু ব্যক্তিরা। তারা সীমান্তে এ ধরনের বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাও করেন। এদিকে উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের মমিজল হকের ছেলে সাদা মিয়া তার ৪০ শতক জমির ভুট্টাক্ষেত ভেঙে নষ্ট করায় চোরকারবারিদের বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে কৃষক সাদা মিয়াকে ক্ষতিপূরণ দিতে চাচ্ছে এবং তার বিনিময়ে অভিযোগ তুলতে বলছে চোরাকারবারিরা।
রৌমারী সদর ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ঘটনাটি সত্যতা স্বীকর করে বলেন, চোরাকারবারিরা সাদা মিয়া এক কৃষকের ভুট্টাক্ষেত নষ্ট করেছে। কৃষকের ক্ষতি করাটা মোটেই ঠিক করেনি। রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ হীল জামান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রৌমারী সদর কোম্পানি কমান্ডার সাইদুর রহমান সীমান্তে এ ঘটনাটি সত্যতা সীকার করে বলেন, এটা আমার এড়িয়া না এটা বাংলাবাজার ক্যাম্পের এড়িয়া। তবে সীমান্তে আরো টহলজোরদার করা হবে।
Leave a Reply