যুগের খবর ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় আম্পানে প্রাথমিক হিসেবে বাংলাদেশের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সার্বিক বিষয় নিয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে উপকূলীয়সহ ২৬ জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, সারাদেশে মোট ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে অন্তত সাতদিন সময় লাগবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রাথমিক হিসাব পেয়েছি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও কৃষি মন্ত্রণালয় আমাদের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিয়েছে। অন্য যারা আছেন তারা রিপোর্ট দিয়েছেন তারা তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দেয়নি।
বুধবার বিকালে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানার পর স্থলভাগে উঠে আসে। সন্ধ্যারাত থেকে বাংলাদেশের উপকূলেও শুরু হয় আম্পানের তান্ডব। এটি সারারাত এটি ঘূর্ণিঝড় রূপে থেকেই দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তান্ডব চালিয়েছে। সারারাত তান্ডব চালানোর পর গতাকাল বহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার পর শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়। ওই সময় স্থল নিম্নচাপ হিসেবে রাজশাহীতে অবস্থান করছিল আম্পান। সকালেই মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
আম্পানের আঘাত হানার আগে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
Leave a Reply