রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করে থানায় আনে পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকেলে দু’জনকে আসামী করে রাজীবপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন ওই ভুক্তভোগি শিক্ষার্থীর বাবা।
আসামীরা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী বাজারপাড়া এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে রঞ্জু মিয়া (৩৪)। একই ইউনিয়নের বালিয়ামারী গুচ্ছগ্রাম এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক জাহিদুল ইসলাম (২৭)। ভুক্তভোগি কিশোরী স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগি শিক্ষার্থীর বাবা অভিযোগে বলেন, তাঁর মেয়ে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। দুই-তিন বছর থেকে তাঁর মেয়েকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন রঞ্জু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন। এ প্রস্তাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে আসছে রঞ্জু মিয়া। এর জের ধরে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই শিক্ষার্থী প্রথম সাময়িক পরীক্ষার দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। পথেই তার মুখ চেপে ধরে জাহিদুল ইসলাম নামের এক যুবকের সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। এসময় ওই শিক্ষার্থীর চিৎকার করলে সিএনজির সামনে এসে দাঁড়ান এলাকার লোকজন। পরে ওই সিএনজির চালকসহ ওই যুবককে আটক করে পুলিশে দেন তাঁরা।
অভিযুক্ত যুবক রঞ্জু মিয়া বলেন, পারিবারিকভাবে ওই মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ের কথা চলছিল। তার অভিভাকরা বিয়ের খরচও করতে বলেছিলেন। এরপর বিয়ে দিতে টালবাহনা করে থাকেন তারা। তাই আমি বাধ্য হয়ে ওই মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম।
রাজীবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। আসামী দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হবে।
Leave a Reply