স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের নাগরিক ৫৭ বছর বয়সী বকুল মিয়ার মরদেহ আজ সকাল ৭টায় চিলমারীতে দাফন করা হয়েছে। আজ ভোর ৫টায় মরদেহ চিলমারীতে পৌঁছালে সকাল ৭টায় রমনা আপন উদ্যোগ সংস্থা সংলগ্ন জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে সামাজিক দুরুত্ব রেখে জানাযা নামায শেষে দাফন করা হয়। গতকাল রাত ১১ টায় বকুল মিয়ার মরদেহ চেংরাবান্ধা-বুড়িমারি ইমিগ্রেশনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। এর আগে ভারতের কারাগারে বন্দি অবস্থায় অসুস্থ্য হয়ে পড়লে গত ১ জুলাই সকাল সাড়ে ৯ টায় ভারতের আসাম রাজ্যের ধুরড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক বাংলাদেশি বকুল মিয়া মারা যান। বকুল মিয়া চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপারি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত বছর ডিসেম্বরে তিনি ভারতে যাওয়ার পর চলতি বছরের ৩ মে দেশে ফেরার পথে আরও ২৫ বাংলাদেশির সাথে তাকেও ভারতের পুলিশ আটক করে। মৃত বকুল মিয়ার স্বজনরা জানান, বর্ডার থেকে মরদেহ বাড়িতে আনার জন্য সব ধরনের সহযোগীতা করেছেন চিলমারীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. ডবিøউ. এম রায়হান শাহ্।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ২৬ বাংলাদেশি ভারতে যান। বৈধ পাসপোর্ট ও ভ্রমণ ভিসা থাকলেও ভারতে দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন চলার মধ্যে গত ২ মে ওই ২৬ জন বাংলাদেশি দু’টি মিনিবাসে আসামের জোরহাট জেলা থেকে দেশে ফেরার উদ্দেশে রওনা দেন। পশ্চিমবঙ্গের চেংরাবান্ধা চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা ছিল তাদের। ভারতে জেলে ও খামারকর্মী হিসেবে কাজ করা এসব বাংলাদেশিকে পরদিন (৩ মে) সকালে বাহালপুর এলাকা থেকে আটক করে আসামের ধুবড়ি জেলা পুলিশ। করোনা পরীক্ষার পর তাদের পাঠানো হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে। গত ৫ মে ওই ২৬ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং ফরেনার্স (সংশোধিত) অ্যাক্ট, ২০০৪ এবং পাসপোর্ট অ্যাক্ট, ১৯৬৭’র ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দেশটির পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাসপোর্টধারী এসব বাংলাদেশি টি-ওয়ান ভিসা নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এই ভিসাধারীদের কাজের অনুমতি না থাকলেও আসাম পুলিশের অভিযোগ, এই বাংলাদেশিরা রাজ্যের জোরহাট, গোলাঘাট ও শিবসাগর এলাকায় কর্মসংস্থান কার্যক্রমে যুক্ত থেকে ভিসার শর্ত ভঙ্গ করেছেন। তাদের মুক্তির দাবিতে কুড়িগ্রামে একাধিকবার মানববন্ধন করেন আটক ব্যক্তিদের স্বজনরা।