হাফিজুর রহমান হৃদয়, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা দান কেন্দ্রে বেড়েছে টিকা নেয়া মানুষের সংখ্যা। টিকা কেন্দ্র ও বুথে উপচে পড়া ভীর ঠেকাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীদের। টিকা গ্রহিতদের দির্ঘলাইন ছিলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাহির পর্যন্ত। টিকা গ্রহীতা নারী পুরুষদের বুথে ঠেলাঠেলি করে টিকা নিচ্ছেলেন। এতে স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকা দিতে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। এছাড়া টিকা গ্রহীতার অনেকের মাঝে স্বাস্থ্য বিধি মানতেও দেখা যায়নি। অনেকের মুখে ছিলো না মাস্ক। ছিলো না দূরুত্ব বজায় রাখার বালাই। রোববার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা কেন্দ্রে গিয়ে এসব চিত্র দেখা যায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, নাগেশ্বরীতে কোভিট-১৯ এর টিকা গ্রহণে মানুষের মাঝে আগ্রহ বেড়েছে। শুরুতে টিকা গ্রহণে মানুষের মাঝে অনিহা থাকলেও এখন বেড়েছে। গত শুক্রবার ১৫ অক্টোবর থেকে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা বেড়েছে। টিকা কেন্দ্রে নারী পুরুষের সমান সমান উপস্থিতির ফলে উভয়ের জন্য দুটি করে মোট ৪ টি টিকা প্রদান বুথ খোলা হয়েছে। এখানে ৬জন টিকা প্রদানকারী কর্মী কাজ করছে। এসব বুথে সকাল নয়টা থেকে শুরু হয় টিকা প্রদান। এ দফায় দেয়া হচ্ছে এসষ্টোজেনিকা ও সিনোফার্মর উৎপাদিত টিকা। প্রথমডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারীরা নিচ্ছেন এসব টিকা।
এদিকে টিকা নিতে আসা অনেকের অভিযোগ টিকা প্রদানে কম জনবল ও অবব্যবস্থাপনা নিয়ে। অভিযোগ রয়েছে টিকা নেয়ার আগে আধাঘণ্টা বিশ্রাম পরে আধাঘণ্টা বিশ্রাম নেয়ার ছিলো না কোন ব্যবস্থ্যা। গাদাগাদি ভীরে সবাই গলদঘর্ম হয়ে টিকা নিচ্ছেলেন। টিকা নিতে আসা কেউ স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। সামাজিক বা শারীরিক দূরুত্ব ছিলোনা কেন্দ্রে। অনেকে সকাল থেকে মাথার উপর রোদ নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
টিকা নিতে আসা পৌরসভার মোফাজ্জল(৭০),আজিজুল (৪০), শফিকুল ইসলাম(৩৫) জানান, সকাল নয়টা থেকে হাসপাতলের গেটের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি, বেলা ১২ টা পর্যন্ত কেেেন্দ্র প্রবেশ করতে পারেন নাই। একই এলাকার নূর- আলম (২৭) বাবুল মিয়া (২৪) জানান, অতি কষ্টে টিকা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন তবে মানুষের ভীরে টিকা গ্রহণ করতে পারছেন না তারা। তাদের অভিযোগ মানুষের গাদাগাদিতে ঘেমে ভিজে গেছেন তারা।
অনেকে জানান, এভাবে এক যায়গায় টিকা কেন্দ্র না করে প্রতিটি ইউনিয়নে টিকা প্রদান করলে মানুষের ভোগান্তি অনেক কমবে।
নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ দফায় ১৬হাজার টিকা আমরা হাতে পেয়েছি। গত বৃস্পতিবার ৩ হাজার এবং শনিবার ৪ হাজার ২শ টিকা প্রদান করা হয়েছে। আজও (রোববার) টিকা গ্রহীতার উপস্থিতি ব্যাপক। আমরা স্টাফরা সবাই মিলে কাজ করছি যাতে টিকা নিতে এসে কেউ ফিরে না যায়।
Leave a Reply