স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র ন্যায্যমূল্যের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও অজানা কারনে ডিলাররা তা তুলছেন না। উপজেলায় লাইসেন্সধারী ৪ টিসিবি ডিলারের মধ্যে একজন ডিলার প্রথম দফায় কিছু পণ্য নিয়ে আসলে নিমিষেই তা বিক্রি হয়ে যায়। অপর কোন ডিলারকে ন্যায্যমূল্যের এসব পণ্য উত্তোলন করে বিক্রয় করতে দেখা যায়নি। টিসিবি’র রংপুর অঞ্চল থেকে পণ্য নিয়ে লাভ কম বলে লাইসেন্সধারী ওই ডিলারদের অভিযোগ।
জানা গেছে, পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে সারাদেশে সরকারী উদ্যোগে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী যেমন-সয়াবিন তেল, চিনি, মশুর ডাল,খেজুর ও ছোলা বিক্রয় করা হচ্ছে। এবারে টিসিবির প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৮০ টাকা, চিনি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও খেজুর ১২০টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো চিলমারী উপজেলায় লাইসেন্সধারী ৪জন ডিলার থাকলেও গওছল আযম নামে এক ডিলার ছাড়া অন্য কোন ডিলার টিসিবি’র ওই সব পণ্যসামগ্রী আনছেন না। ফলে রমজান মাসেও অধিক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ দোকানগুলোতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০৫-১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৬৪-৬৫ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৮৫ টাকা, মসুর ডাল মান ভেদে ১০০-১২০ টাকা ও খেজুর ২৫০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় ওইসব দ্রব্যের দাম হাতের নাগালে রাখতে সরকারী এ পদক্ষেপের সুফল না পাওয়ায় এনিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
সোমবার উপজেলার থানাহাট বাজারস্থ চিলমারী মহিলা কলেজ সংলগ্ন পয়েন্টে মেসার্স গওছুল আযম ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে ১ম দফায় কিছু পণ্য নিয়ে আসলে নিমিষেই তা বিক্রি হয়ে যায়। ওই পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যের পণ্য নিতে আসা মাহফুজার রহমান, মোরশেদ আলম, অহেদ আলীসহ অনেকে জানান,আমরা টিটিসবির পণ্য কিনতে এসেছিলাম, কিন্তু আসতে আসতেই পণ্য শেষ হয়ে গেছে।
মেসার্স গওছুল আযম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ গওছুল আযম জানান, টিসিবি’র রংপুর অফিস থেকে ১ হাজার ৫শ লিটার তেল, ১হাজার কেজি চিনি, ২শ কেজি ডাল, ১ হাজার কেজি সোলা ও ১শ কেজি খেজুর বরাদ্দ পেয়েছি যা ওই দিনই বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, চিলমারীতে টিসিবি’র পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, আরও পণ্য আনা প্রয়োজন। বিষয়টি অনুসন্ধান করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে বাকী ডিলারদের তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ডিলারদের নিরবতার কারনে বাজারে টিসিবি’র ওই সব পণ্যসামগ্রী ন্যয্যমূল্যে ক্রয় করতে পারছে না করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থাকা সাধারণ জনগণ। টিসিবি’র ন্যায্যমূল্যের পণ্যসামগ্রী ক্রয় থেকে বঞ্চিত সাধারণ জনগণের দাবীরমূখে লাইসেন্সধারী ওইসব ডিলারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, রংপুর আঞ্চল থেকে পণ্য তুলে এনে বাজারে বিক্রয় করে তেমন লাভ না হওয়ায় এসব পণ্য আনতে যাওয়া হয়নি। টিসিটিবি’র পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্বেও সকল ডিলার তা আনছেন না, এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ, ডব্লিউ, এম রায়হান শাহ্ বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে আলোচনা স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply