মাসুদ পারভেজ, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কমরত সংবাদকর্মীরা করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করছেন। তাদের নেই কোনো সুরক্ষা পোশাক। করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে, তাই ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি এবং এক জনগোষ্ঠী থেকে অন্য জনগোষ্ঠীতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকার করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে জনগণকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করছেন। সারা দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। তবুও সারাদেশের মতো থেমে নেই সীমান্ত ঘেঁষা রৌমারীর সংবাদকর্মীরা।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দিতে ২৩ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ঠ শাখায় আইনজীবী মো. জে. আর. খান রবিন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। এর আগে গত ১৯ মার্চ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ রুবেল বলেন, রৌমারীতে দেশের প্রায় সবকটি প্রিন্ট মিডিয়ার ৩৫ জন সংবাদকর্মী আছেন। তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পরিস্থিতির কথা ভেবে এ অঞ্চলের সংবাদকর্মীদের সুরক্ষা পোশাক দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এব্যাপারে কাগজ প্রতিবেদক তৈয়বুর রহমান বলেন, বিশ^ মহামারিতে ঝুঁকি নিয়ে করোন ভাইরাসের সংবাদ সংগ্রহ করছেন সংবাদকর্মীরা। সংবাদকর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবে সরকারের পক্ষ থেকে পিপিই দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তারা জানান, সংবাদকর্মীরা সবসময় অবহেলার শিকার। সারা দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। তবুও থেমে নেই সীমান্ত ঘেঁষা রৌমারীর গণমাধ্যমকর্মীরা।
Leave a Reply